ঢাকা , সোমবার, ০৫ মে ২০২৫ , ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে বাঘ-সিংহের খাদ্য বাসি গরুর মাংস সরবরাহ লালমনিরহাটে সেপটিক ট্যাংকে শ্রমিকের মৃত্যু বিরলে সর্প দংশনে ২ জনের মৃত্যু নওগাঁয় গৃহকর্মী থেকে সফল হাঁসচাষি খাতিজা সাঘাটায় বাঙালি নদীতে বালু উত্তোলন হুমকিতে ব্রিজ ও ফসলি জমি শেরপুরে অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষার কেন্দ্রে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশে বাধা বাবুগঞ্জে বাঁধ নির্মাণ সংরক্ষণের জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজের উদ্বোধন জমা পড়েছে দায়সারা প্রতিবেদন তিন লাশের পরিচয় মেলেনি ডেঙ্গুতে মৃত্যু নেই হাসপাতালে ৪৩ রোগী আসন্ন বর্ষায় এবারও ঢাকা ডুবে যাওয়ার শঙ্কা এবার পাল্লা ভারী করার মিশনে বিএনপি রফতানিতে পিছিয়ে পড়ার শঙ্কা ৫ মে থেকে আন্দোলনে নামবেন প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা ‘কর্মীদের আর্থিক নিরাপত্তা ছাড়া গণমাধ্যম স্বাধীন হবে না’ ফেব্রুয়ারি কিংবা এপ্রিলে নির্বাচন হওয়া উচিত-শফিকুর রহমান তারেক রহমানের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি আজ ঢাকায় ব্যবসা খুঁজতে আসছে চীন জুলাইয়ের বিপক্ষ শক্তি হামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে- প্রেস সচিব আ'লীগের পুনর্বাসন মানবো না অন্তর্বর্তী সরকারকে কড়া বার্তা দিলো হেফাজত

নওগাঁয় গৃহকর্মী থেকে সফল হাঁসচাষি খাতিজা

  • আপলোড সময় : ০৪-০৫-২০২৫ ০৯:৫৮:৪২ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৪-০৫-২০২৫ ০৯:৫৮:৪২ অপরাহ্ন
নওগাঁয় গৃহকর্মী থেকে সফল হাঁসচাষি খাতিজা
পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি
গ্রামের মেঠা সরুপথ। পথের দুধারে উঁচু বৃক্ষরাজির সমারোহ। সড়কের দুপাশের গাছের ছায়া আটকে দিয়েছে বৈশাখের তীব্র রোদের দাপট। সড়কের দুপাশ ধরে মনজুড়ানো সোনালী ধানের ক্ষেত। নির্জন সড়কের বৃক্ষরাজির ছায়াতলে ক্লান্ত শ্রমিকরা জুড়িয়ে নিচ্ছেন নিজেদের। এই অপরুপ সড়ক ধরে সামনে এগোতেই চোখে পড়ল এক ঝাঁক হাঁস নিয়ে বসে আছেন খাতিজা ও রাশেদুল নামে এক দম্পতি। আর নির্জন সড়কের পাশের খাদের জলে হাঁস ডাকার শব্দ ও তাদের কলকলানিতে যেন মুখরিত হয়ে পড়েছে এলাকার পরিবেশ। আলাপচারিতায় খাতিজা জানান, স্বামী রাশেদুল ইসলাম ও দুই ছেলেকে নিয়ে তিনি পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভার বাদপুঁইয়া মৌজায় বসবাস করেন। দুই বছর আগেও তিনি মানুষের বাড়িতে গৃহপরিচালিকার কাজ করতেন। স্বামী রাশেদুল অন্যের জমিতে কৃষিমজুর হিসাবে শ্রম দিতেন। এর পাশাপাশি বাড়িতে ২/৪টি হাঁস-মুরগী পালন করা হতো।
অন্যের বাড়িতে সারাদিন হাঁড়ভাঙ্গা কাজ করেও মালিকের মন যোগানো যেতনা। সামান্য কিছু হলেই নানারকম কটু কথা শুনতে হতো। তাই কাজ করতে করতেই অল্প অল্প করে কিছু টাকা জমাতে থাকি এবং কিছু একটা করার স্বপ্ন দেখতে শুরু করি। কিছু একটা করার তাগিদ থেকেই গতবছর ৫শত ক্যামবেল জাতের হাঁসের বাচ্চা ক্রয় করে লালন পালন শুরু করি। ৫শ’ হাঁস এক বছর ধরে পালন করতে  দুই লাখ টাকা খরচ হয় এবং আড়াই লাখ টাকার হাঁস ও ডিম বিক্রয় করি। প্রথম বারের মতো উদ্যোগ গ্রহণ করায় অনেক কিছু বুঝতে না পারার কারণে হাঁসের উৎপাদন খরচ বেশী পড়ে। এ বছর আবার ৫শত হাঁসের বাচ্চা ক্রয় করে লালন-পালন শুরু করেছি। প্রথম বছর হাঁস পালন করতে গিয়ে যেসকল ভুল-ভ্রান্তি ছিলো সেখান থেকে শিক্ষা নেয়ায় এবার হাঁসের উৎপাদন খরচ কম পড়বে বলে মনে করছি। আলাপচারিতায় খাতিজা আরো জানান, হাঁস পালন কাজে স্বামী তাকে সহায়তা করে। দিনের একটা বড় সময় মাঠে বা পুকুরে হাঁস ছেঁড়ে দেয়া হয়। এতে হাঁসের খাবারের খরচ কমে যায় এবং উৎপাদন খরচ কমে।
বর্তমানে স্বামী রাশেদুল ৩বিঘা জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করছে আর পাশাপাশি আমাকে হাঁস পালনে সহায়তা করছে। তিনি জানান, হাঁস চাষের ঝুঁকি হলো অনেক সময় হাঁসের কলেরা ও প্লেগ রোগ হয় এবং হাঁস মারা যায়, উৎপাদিত হাঁস ও ডিমের দাম সঠিকভাবে পাওয়া যায়না, কখনও কখনও হাঁসের টিকার সংকট দেখা দেয়। হাঁস চাষের খরচ যোগাতে অনেক সময় ঋণদেনাও করতে হয়। খাজিতা জানান, প্রথম বছর হাঁস পালন থেকে যে শিক্ষা অর্জন করেছি এ বছর তা কাজে লাগিয়ে উৎপাদন খরচ কমাতে পারবো। এছাড়াও আগের বছর উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিস থেকে কোন সহায়তা না পেলেও এ বছর পাওয়া যাচ্ছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, এ বছর হাঁস পালন করে সফলতা আসলে আগামী বছর ১হাজার থেকে এক হাজার দুইশত হাঁস পালনের পরিকল্পনা রয়েছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য